মারুফের যা বলার তা একটি কবিতার পরিধিতে সে বলে শেষ করতে পারছে না, তাই বলার কথার জের টানছে অনেকদূর পর্যন্ত। অথচ বলার কথা সেই সনাতন ও চিরন্তনÑ নারীর প্রতি পুরুষের আকর্ষণজাত নানারকম অনুভূতি: বিষাদ ও উল্লাস, অভিমান ও রোষ, আত্মসমর্পণ ও বিজিগীষা। হয়তো এসব কবিতার মধ্যে পুনরুক্তি আছে, তবে একথা বুঝতে হবে যে, এগুলো এমন মানসিক অবস্থার ফসল যখন একই কথা বারবার বলতে ইচ্ছে করে। কবিতার ভাষা ও ছন্দের উপর মারুফুল ইসলামের স্বাভাবিক অধিকার আছে। তার কবিতা পড়তে গিয়ে তিরিশের কবিদের কথা মনে পড়বে, কিন্তু নতুন ও পুরাতনের এক ধরনের সচেতন মিশ্রণ সে ঘটিয়েছে। কবিতার নামেই তা লক্ষ্য করা যাবে; প্রত্যাশার শরীরের পাশাপাশি স্বপ্নকুমারী কিংবা ধ্রুবনক্ষত্রের গল্পের সঙ্গে রূপকথা। অনেক কবিতায় ছন্দে লিখতে অগ্রসর হয়ে সে তা ইচ্ছাকৃতভাবে ভেঙে দিয়েছে, আধুনিক কবিতার স্বাভাবিক ভাষার মধ্যে বসিয়ে দিয়েছে আধুনিক কবিকুলের দ্বারা বর্জিত ও তিরস্কৃত শব্দ। এটাই তার কবিতার লক্ষযোগ্য বৈশিষ্ট্য বলে আমার মনে হয়েছে। মারুফের কবিতা পাঠকের সমাদর ও যোগ্য সমালোচকের মনোযোগ আকর্ষণ করবে। আনিসুজ্জামান
নির্বাচিত কবিতা
