বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ প্রকাশনা বইসাঁকো

যাত্রা শুরু করল ‘বইসাঁকো’। বাংলাদেশ-ভারতের যৌথ উদ্যোগে প্রকাশনার ইতিহাসে এই প্রথম বই প্রকাশের এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

গত ২ ফেব্রুয়ারি শনিবার সন্ধ্যায় এবারের ৪৩তম আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলায় যাত্রা শুরু করে ‘বইসাঁকো’। দুই দেশের দুই ঐতিহ্যবাহী প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান ‘অন্যপ্রকাশ’ ও ‘পত্রভারতী’ এর উদ্যোক্তা।

এছাড়া একই অনুষ্ঠানে বইসাঁকোর ব্যানারে প্রকাশিত হয়েছে বাংলাদেশের তিন ও ভারতের দুই সাহিত্যিকের বই। বাংলাদেশের সৈয়দ মনজুরুল ইসলামের ‘সেরা দশ গল্প’, মারুফুল ইসলামের ‘নির্বাচিত ১০১ কবিতা’ ও মাজহারুল ইসলামের ‘হুমায়ূন আহমেদের মাকড়সাভীতি এবং অন্যান্য’। বই তিনটি প্রকাশ করেছে পশ্চিমবঙ্গের প্রকাশনা সংস্থা পত্রভারতী।

এছাড়া ভারতের সত্যম রায়চৌধুরীর ‘দুনিয়াদারি’ ও ত্রিদিবকুমার চট্টোপাধ্যায়ের ‘আজও রোমাঞ্চকর: স্বাধীনতার রক্তঝরা গল্প’ প্রকাশিত হয়েছে। এই দুটি বই প্রকাশ করেছে বাংলাদেশের প্রকাশনা সংস্থা অন্যপ্রকাশ।

স্টেট ব্যাঙ্ক অডিটরিয়ামে এই পাঁচটি বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে লেখকরা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রাজ্য সরকারের গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদিকুল্লাহ চৌধুরী, কথাশিল্পী সমরেশ মজুমদার, কলকাতাস্থ বাংলাদেশ উপ-দূতাবাসের ডেপুটি হাইকমিশনার তৌফিক হাসান, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মজিবর আল মামুন, কথাসাহিত্যিক প্রচেত গুপ্ত, রাবেয়া খাতুন, কবি বীথি চট্টোপাধ্যায়, কণ্ঠশিল্পী ও নির্মাতা মেহের আফরোজ শাওন প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে সাহিত্যিক সমরেশ মজুমদার কিছুটা আক্ষেপের সুরে বলেন, ‘আমি অনেক বছর ধরে উপন্যাস লিখছি বাংলাদেশের কাগজে। মাজহারুল ইসলাম এবং ত্রিদিবকুমার চট্টোপাধ্যায় উদ্যোগ গ্রহণ করল, যৌথ প্রকাশনা যাত্রা শুরু করল। এই ভাবনাটা এর আগে কেউ ভাবেনি। ভাবলে কত যে ভালো হতো।’

সমরেশ মজুমদার বলেন, ‘আমাদের যখন অল্প বয়স তখন এমন সুযোগ থাকলে আমরা আরও অনেক পাঠকের কাছে পৌঁছতে পারতাম। কেন যে ওঁরা এত দেরি করল! আমাদের সময় এখন ফুরিয়ে যাচ্ছে। খারাপ লাগে! কিন্তু একই সঙ্গে ভালো লাগে যাঁরা এই সুযোগ পেলেন তাঁদের কথা ভেবে। এবার পশ্চিমবঙ্গের বই বাংলাদেশের চট্টগ্রাম কিংবা আরও প্রত্যন্ত অঞ্চলে পৌঁছে যাবে। আবার পশ্চিমবঙ্গের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছড়িয়ে যাবে বাংলাদেশের বই।’

প্রকাশনা অনুষ্ঠানে বক্তারা বইসাঁকো প্রতিষ্ঠার উদ্যোগের প্রশংসা করে আশা প্রকাশ করে বলেন, এর মধ্য দিয়ে দুই দেশের সাহিত্যের আদান-প্রদানে একটি নতুন মাত্রা সূচিত হবে।

অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে গান শোনান বাংলাদেশের দুই খ্যাতনামা শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা ও মেহের আফরোজ শাওন। পুরো অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন অধ্যাপক ইমানুল হক।

মারুফুল ইসলাম

Top